• ৩ আষাঢ় ১৪৩২, শুক্রবার ২০ জুন ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

Met Office

রাজ্য

শিয়রে ঘূর্ণিঝড় 'অশনি', সংকেত মৌসম ভবনের

রবিবার সকালে মৌসম ভবন সুত্রে জানানো হয়েছে, গভীর বঙ্গোপসাগরে অশনি ঘূর্নীঝড়ের আকার নিলো। আন্দামানের অনতিদূরে অবস্থান করা গভীর নিম্নচাপ ইতিমধ্যেই ঘূর্ণাবর্তে পরিণত হয়েছে। এই মুহুর্তে তার গতিবেগ ঘণ্টায় ১৬ কিলোমিটারের কাছাকাছি। এই ঘুর্নাবর্ত উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর বরাবর উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে।অশনির সংকেত পেয়ে প্রস্তুত হচ্ছে বাংলাও। মৌসম ভবন থেকে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের অবস্থান করা জেলাগুলির জন্য ১০ থেকে ১৩ মে অবধি বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে।মৌসম ভবন সুত্রে আগেই জানানো হয়েছিলো ঘূর্ণিঝড় অশনির পশ্চিমবঙ্গের উপকূলে আছড়ে পড়ার কোনও সম্ভাবনা প্রায় নেই। তাঁরা রবিবারও জানিয়েছে, এই মুহুর্তে তৈরি হওয়া ঘূর্ণিঝড়টি পুরী থেকে প্রায় ১,০৩০ কিলোমিটার এবং বিশাখাপত্তনম থেকে ৯৭০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে। মঙ্গলবার নাগাদ ওড়িশা কিংবা অন্ধ্রপ্রদেশের উপকূল ছুঁতে পারে ঘূর্ণিঝড় অশনি। পশ্চিমবঙ্গ বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তর থেকে সমগ্র দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে ঘূর্ণিঝড় অশনির আগাম সতর্কতা জারি করেছে।পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফ থেকে ঘূর্ণিঝড় অশনির প্রভাবে হওয়া বৃষ্টি ও ঝোড়ো হাওয়া তে কৃষিজমি এবং ফসল নষ্টের আশঙ্কা করা হচ্ছে। এই আশঙ্কায় পশ্চিমবঙ্গ সরকার কৃষকদের জন্য ছদফা সতর্কতা জারি করেছে। নবান্ন থেকে কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে তাঁরা যেনো পাকা ধান কেটে অতি সত্তর গুদামজাত করে রাখেন। এছাড়াও বিভিন্ন সব্জি ও ফসলের ক্ষেত থেকে অতি সত্তর জমা জল নিকাশী করে নেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়।

মে ০৮, ২০২২
দেশ

দিল্লিতে তীব্র তাপপ্রবাহের পূর্বাভাস, তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি বঙ্গেও

দিল্লির বেশ কিছু অংশে তীব্র তাপপ্রবাহের পূর্বাভাস দিল মৌসম ভবন। বুধবারও তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি পেরোতে পারে বলেও পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। আগামী কয়েক দিন এই তীব্র তাপপ্রবাহ চলতে পারে বলেও সতর্ক করেছে মৌসম ভবন।আবহবিদরা জানান, দীর্ঘ দিন ধরে শুষ্ক আবহাওয়ার জেরেই উত্তর-পশ্চিম ভারতে শুরু হতে চলেছে এই তীব্র তাপপ্রবাহ। মঙ্গলবারও দিল্লির বেশ কিছু অংশে তীব্র তাপপ্রবাহ লক্ষ করা গিয়েছিল। নরেলা, পিতমপুরা এবং স্পোর্টস কমপ্লেক্সে পারদ ছিল ৪১ ডিগ্রির উপরে। ৩ থেকে ৫ এপ্রিল দিল্লিতে আরও একটি তাপপ্রবাহের আশঙ্কা রয়েছে বলেও মৌসম ভবন জানিয়েছে। প্রসঙ্গত, বাতাসের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা স্বাভাবিকের তুলনায় ৪.৫ ডিগ্রি বেশি হলে তবেই তাপপ্রবাহের সৃষ্টি হয়। তবে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা যদি স্বাভাবিকের তুলনায় ৬.৪ ডিগ্রির উপরে হয়, তখন শুরু হয় তীব্র তাপপ্রবাহ।দিল্লির পাশাপাশি চৈত্রের চাঁদিফাটা গরমে নাজেহাল অবস্থা বঙ্গবাসীর। তার সঙ্গে আবার তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি হয়েছে। আগামী ৩১ মার্চ থেকে দক্ষিণবঙ্গে একাধিক জেলায় তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি করা হয়েছে। তাপপ্রবাহ চলবে পশ্চিমের বেশকিছু জেলায়। আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের তরফে আরও জানানো হয়েছে দক্ষিণবঙ্গের ক্ষেত্রে আগামী ১৫ দিন বৃষ্টিপাতের তেমন কোনও সম্ভাবনা নেই। তাপমাত্রাও মোটের উপর একই থাকবে রাজ্য। এ ক্ষেত্রে খুব একটা উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন নেই বলেই জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া অফিস। এদিকে পশ্চিমের চার জেলা পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, ঝাড়গাম এবং পশ্চিম মেদিনীপুরে তাপ প্রবাহের সর্তকতা জারি করা হয়েছে। এই চার জেলায় তাপমাত্রা চল্লিশের ঘরে পৌঁছে যেতে পারে।

মার্চ ৩০, ২০২২
রাজ্য

ক্রমশ চড়ছে পারদ, কালঘাম ছুটবে দোলে

মার্চ পড়তে না পড়তেই চড়া রোদের তাপে ছাতি ফাটা অবস্থা। একটু বেলা বাড়তেই রীতিমত হাঁসফাঁস করতে হচ্ছে। রোদ চশমা, ছাতা ছাড়া বাইরে বেরোনোই দায় হয়ে পড়েছে এখন। তবে এই মাসের শুরুতেও কিন্তু তাপমাত্রা এমনটা ছিল না। হালকা শীতের আমেজ ছিল। পাশাপাশি সঙ্গী ছিল বৃষ্টি। কিন্তু দিন যত এগোচ্ছে চড়া রোদ আর গরমের বাড়বাড়ন্ত ততটাই বেড়েছে। পাশাপাশি ত্বকে পড়ছে টান।হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, যত দিন এগোবে দিনের তাপমাত্রা ধীরে-ধীরে বৃদ্ধি পাবে। কলকাতায় আগামীকাল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকবে ৩০ থেকে ৩৪ ডিগ্রি। অন্যদিকে, সর্বনিম্ম তাপমাত্রা থাকবে ২১ থেকে ২২ ডিগ্রির আশেপাশে। তবে শীত শেষে গরম পড়তে শুরু করলেও এই ভ্যাপসা আবহাওয়া থাকে অন্তত পক্ষে তিন থেকে চারদিন থাকবেই।এদিকে, কাঠফাটা রোদে সামান্য বৃষ্টির জন্য মুখিয়ে রয়েছেন প্রত্যেকে। তবে এখনই রেহাই মিলছে না। আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে খবর, আগামী চার থেকে পাঁচদিন উত্তর এবং দক্ষিণবঙ্গের কোথাও কোনও বৃষ্টির সম্ভবনা নেই। অর্থাৎ এই কাঠফাটা গরম সহ্য করতে হবে। এদিকে, ১৭ মার্চ দোল এবং ১৮ তারিখ হোলি। আর দোলে এখনও অবধি আবহাওয়ার যা খবর মিলছে তাতে বৃষ্টির কোনও সম্ভবনা নেই বললেই চলে। রঙের উৎসবে মাততে যে যথেষ্ঠ কালঘাম ছুটবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। দোলের দিন যে ভালোই গরম অনুভূত হবে তার পূর্বাভাস আগে থেকেই করছে আবহাওয়া দপ্তর।

মার্চ ১২, ২০২২
রাজ্য

অক্ষরেখার টানে বঙ্গোপসাগরের জলীয় বাষ্পের প্রভাবেই সকাল থেকে শুরু বৃষ্টি

আজও রয়েছে দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির সম্ভাবনা। সকাল থেকেই পশ্চিমের জেলাগুলিতে বৃষ্টি হচ্ছে। সকাল থেকেই মেদিনীপুর, পুরুলিয়ায় বৃষ্টি শুরু হয়েছে। পশ্চিমী ঝঞ্ঝার জেরে শুক্রবার কলকাতা শহর দক্ষিণবঙ্গের বেশ কিছু জেলার যেমন মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, হাওড়া, হুগলিতে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা। এদিন দুপুরের পর থেকে কোথাও কোথাও বজ্রগর্ভ মেঘ সঞ্চার করে বৃষ্টিপাত হবে। এদিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৯.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এই বৃষ্টির ফলে তাপমাত্রা কমার কোনও সম্ভাবনা নেই। একে পশ্চিমী ঝঞ্ঝা এবং সঙ্গে পূবালি হাওয়ার সংঘাত। তার জেরেই অসময়ে বৃষ্টি। শনিবার থেকে আকাশ পরিষ্কার থাকবে, এমনটাই পূর্বাভাস আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের।মধ্য ভারত থেকে পশ্চিমবঙ্গের উপর দিয়ে উত্তর-পূর্ব ভারত পর্যন্ত বিস্তৃত অক্ষরেখাকেই দায়ী করছেন আবহবিদেরা। হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস মিলিয়ে সকাল থেকে শহরের কিছু অংশে বৃষ্টি শুরুও হয়ে গিয়েছে। শুক্রবার সকাল থেকেই মহানগরীর আকাশের মুখ ভার। তবে, গত কয়েক দিনের মত ঘন কুয়াশার চাদর ছিল না। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকতে পারে ২৯.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে এক ডিগ্রি কম। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে ১৯.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিক।আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, শুক্রবার থেকে রবিবার পর্যন্ত রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বৃষ্টি হতে পারে দার্জিলিং, কালিম্পং এবং মালদহ, দুই দিনাজপুরে। দক্ষিণবঙ্গে নদিয়া, মুর্শিদাবাদ, দুই বর্ধমান, পুরুলিয়াতেও বৃষ্টি হতে পারে। কাল, শনিবার এবং তার পরের দিন, রবিবার দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ারে বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। বৃষ্টি হতে পারে বাঁকুড়া, দুই বর্ধমান, নদিয়া, মুর্শিদাবাদ, দুই ২৪ পরগনাতেও। আবহবিদদের বক্তব্য, অক্ষরেখার টানে বঙ্গোপসাগর থেকে জলীয় বাষ্প ঢুকছে। তা ঘনীভূত হয়ে তৈরি করতে পারে বজ্রগর্ভ মেঘ। তা থেকেই বৃষ্টি হতে পারে।

ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২২
রাজ্য

বৃহস্পতিবার থেকে বৃষ্টির পূর্বাভাস রাজ্যে, বাড়ছে তাপমাত্রাও

বুধবার সকাল থেকেই ফের মুখভার শহরের। বৃহস্পতি ও শুক্রবার রাজ্যে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আলিপুরের হাওয়া অফিস। দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, জলপাইগুড়ি এবং উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর-সহ মালদহ জেলাতেও বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বৃহস্পতিবার থেকে। শুক্রবার বৃষ্টির পরিমাণ বাড়তে পারে উত্তরবঙ্গে। দক্ষিণবঙ্গও মুক্তি পাচ্ছে না বৃষ্টি হাত থেকে।হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, উত্তর-পশ্চিম ভারতে নতুন করে পশ্চিমী ঝঞ্ঝা ঢুকছে বুধবার রাত থেকে। এর ফলে বুধবার বৃষ্টি এবং তুষারপাতের সম্ভাবনা রয়েছে জম্মু-কাশ্মীর, লাদাখ এবং মুজাফফরাবাদে। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বৃষ্টি তুষারপাতের সম্ভাবনা রয়েছে হিমাচলপ্রদেশ এবং উত্তরাখণ্ডে। এরই প্রভাব পড়তে পারে বাংলায়।আলিপুর আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা যাচ্ছে, বুধবার কলকাতা ও সংলগ্ন এলাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকতে পারে ২৮.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে, যা স্বাভাবিকের চেয়ে ২ ডিগ্রি কম। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৭.৯ ডিগ্রি, স্বাভাবিকের চেয়ে ১ ডিগ্রি কম। গত ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টি হয়নি। আবহাওয়াবিদরা জানাচ্ছেন, ফের পশ্চিমী ঝঞ্ঝা ও পূবালি হাওয়ার সংঘাতে বৃষ্টি হতে পারে রাজ্যে। বাংলাদেশের উপর ঘূর্ণাবর্ত, যার কারণে বাংলাদেশ সংলগ্ন জেলাগুলিতে আংশিক মেঘলা আকাশের সম্ভাবনা। পশ্চিমের জেলা পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ ও নদিয়াতে বৃহস্পতিবার হালকা বৃষ্টির পূর্বাভাস। পশ্চিমের এই জেলাগুলিতে শুক্রবার মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। হালকা বৃষ্টি পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পূর্ব বর্ধমান, হুগলি, হাওড়া, কলকাতায় জেলায়। উপকূলের জেলাগুলিতে মেঘলা আকাশ হলেও বৃষ্টির সম্ভাবনা কম।

ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২২
রাজ্য

কুয়াশায় ঢাকল শহর, দৃশ্যমানতা ৫০ মিটারের কম, ব্যাহত যান ও বিমান চলাচল

সকালে কুয়াশায় ঢাকল মহানগরীর মুখ। দৃশ্যমানতা ছিল ৫০ মিটারের কম। যে কারণে বিমান চলাচল ব্যাহত হয়। বিমানবন্দর সূত্রে খবর, দৃশ্যমানতা কম থাকায় বেশ কিছু বিমান ছাড়তে দেরি হয়।সোমবার ভোরে শহর কলকাতার আকাশ শীতকালের মতোই কুশায়া ঢাকা ছিল। যে কারণে দৃশ্যমানতার সমস্যা তৈরি হয়। রাস্তায় বেরিয়ে সমস্যায় পড়েন গাড়ি চালকরা। ভোরের দিকে বেশ কয়েকটি বিমানের উড়ানে দেরি হয়। হাওয়া অফিস জানিয়েছে, এই সমস্যা আগামী কয়েক দিন থাকবে। সোমবার কলকাতা ও তার আশপাশের এলাকার সর্বোচ্চ তামমাত্রা থাকতে পারে ২৬.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা কি না স্বাভাবিকের থেকে ৪ ডিগ্রি কম। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৭.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস যা স্বাভাবিকের থেকে এক ডিগ্রি কম।সোমবার ভোরে কুয়াশা এবং রবিবার রাতে তামমাত্রার পতন অনুভব করে অনেকের মনেই প্রশ্ন এসেছে ফের কি ফিরবে শীত? তবে হাওয়া অফিস জানিয়ে দিয়েছে, তাপমাত্রার ওঠানামা চললেও শীত ফেরার আর কোনও সম্ভাবনা নেই। হাওয়া অফিস জানিয়েছে, বসন্তকালের বৈশিষ্ট অনুযায়ী হালকা শীতের আমেজ থাকলেও আর নতুন কোনও ঠান্ডা পড়ার সম্ভাবনা নেই। শীত ফিরছে না। রবিবার বৃষ্টির পূর্বাভাস থাকলেও রাজ্যের কোথাও সে ভাবে বৃষ্টি হয়নি।

ফেব্রুয়ারি ২১, ২০২২
রাজ্য

ঝাড়খণ্ডে তৈরি ঘূর্ণাবর্তের জেরে সপ্তাহান্তে বৃষ্টির ইঙ্গিত বঙ্গে

আর মাত্র একদিন। তারপর উধাও হতে চলেছে। শুক্রবারের পর শনিবার আকাশ পরিষ্কার থাকবে। রাতের তাপমাত্রা বাড়তে শুরু করেছে। বসন্ত সমাগমের এই আবহে বর্ষণের সম্ভাবনা জোরদার হয়েছে গাঙ্গেয় বঙ্গের একাংশে। সম্ভাব্য এক ঘূর্ণাবর্তের প্রভাবে ফের এক দফা বৃষ্টি শুধু নয়, রীতিমতো বজ্রগর্ভ মেঘ সৃষ্টির ইঙ্গিত দেখছে হাওয়া অফিস।শুক্রবার শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকতে পারে ২৭.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, স্বাভাবিকের থেকে যা দুডিগ্রি নীচে। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে ১৬.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, স্বাভাবিকের থেকে যা-ও দুডিগ্রি কম।আবহবিদেরা জানাচ্ছেন, রবিবার কলকাতা-সহ রাজ্যের উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে বৃষ্টির সম্ভাবনা বেশি। পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলিতে তেমন বৃষ্টি হবে না। আলিপুর হাওয়া অফিস জানাচ্ছে, ঝাড়খণ্ডের উপরে একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হতে পারে। তার টানে বঙ্গোপসাগর থেকে দক্ষিণবঙ্গের পরিমণ্ডলে প্রচুর জলীয় বাষ্প ঢুকবে। এবং সেই জলীয় বাষ্প থেকেই স্থানীয় ভাবে বজ্রগর্ভ মেঘ তৈরি হয়ে বৃষ্টি হতে পারে।শীত ভাল করে অনুভূত হওয়ার আগেই বিদায় নিয়েছে। বঙ্গে কার্যত শীত বিদায় নেবে অকালবৃষ্টির সৌজন্যে, অন্তত এমনটাই বলছেন আবহবিদদের একাংশ। শনিবার থেকেই মেঘে ঢাকতে শুরু করবে আকাশ। রবি ও সোমবার রাজ্যের সব জেলাতেই বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে।

ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০২২
রাজ্য

বিদায়ের আগে মাঘের শেষে বঙ্গে হিমেল পরশ

মাঘের শেষে বঙ্গে হিমেল পরশ। বেশ ভালই অনুভূত হচ্ছে । পশ্চিমী ঝঞ্ঝার রেশ কাটিয়ে ফের ছন্দে ফিরতে শুরু করেছে শীত। তবে সেই শীতও আর স্থায়ী হবে না। অর্থাৎ, বঙ্গে কার্যত শীত বিদায় নেবে অকালবৃষ্টির সৌজন্যে, অন্তত এমনটাই বলছেন আবহবিদদের একাংশ। আবারও বৃষ্টির পূর্বাভাস বাংলায় । নেপথ্যে ফের এক পশ্চিমী ঝঞ্ঝা। সঙ্গে বঙ্গোপসাগরীয় অঞ্চলে উচ্চচাপ বলয়। আর এই দুইয়ের জোড়া ঠেলায় রাজ্যে ঢুকবে জলীয় বাষ্প। আর তার জেরে বিক্ষিপ্তভাবে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা। রবিবার ও সোমবার বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে রাজ্যে। রাজ্যের প্রায় সব জেলাতেই বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে।আলিপুর হাওয়া অফিস জানিয়েছে, পশ্চিমী ঝঞ্জা কাটিয়ে তাপমাত্রার পারদ ছিল নিম্নমুখী। বেশ কয়েকদিন ধরে শীতের আমেজ ছিল রাজ্যজুড়ে। বৃহস্পতিবার কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৭.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস যা স্বাভাবিকের থেকে ৩ ডিগ্রি কম। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৬.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস যা স্বাভাবিকের থেকে ২ ডিগ্রি কম। বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার সর্বোচ্চ পরিমাণ ৯২ শতাংশ। বুধবারও তাপমাত্রার বিশেষ হেরফের হয়নি। আপাতত শনিবার পর্যন্ত বিশেষ তাপমাত্রার পরিবর্তন হবে না। তবে, রবিবার থেকে ধীরে ধীরে বাড়তে শুরু করবে তাপমাত্রা।এই দুই বিপরীতধর্মী বাতাসের সংঘর্ষের ফলে রাজ্যের আকাশে বজ্রগর্ভ মেঘের সৃষ্টি হবে। এর পাশাপাশি এখন ফেব্রুয়ারি অর্ধেক অতিক্রম করে আমরা এখন মার্চের দিকে যাচ্ছি। ফলে কালবৈশাখীর মতো ঝড়ের উপদ্রব হতে পারে। তবে, ধীরে ধীরে মার্চের মাঝামাঝি থেকেই রাজ্যে গ্রীষ্ম অনুভূত হতে শুরু করবে। মরশুমি হিসেবে শীতের বিদায় নেওয়ার পালা এসে গিয়েছে।

ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০২২
রাজ্য

আজ শহরতলীতে ঝেঁপে বৃষ্টি আসতে চলেছে

জাঁকিয়ে মরশুমি শীতের আশা কার্যত ছেড়েই দিয়েছে বঙ্গবাসী। একটানা পর পর পশ্চিমী ঝঞ্ঝার জেরে শীত কার্যত ছুটি নিয়েছে। শেষ মাঘেও কার্যত বৃষ্টি। খনার বচন বলে, ধন্য রাজার পুণ্য দেশ, যদি বর্ষে মাঘের শেষ। বৃহস্পতিবারও গোটা রাজ্যেই ফের বৃষ্টি হতে পারে বলেই জানিয়েছে হাওয়া অফিস। আর কয়েকঘণ্টার মধ্যেই কলকাতা-সহ সমস্ত শহরতলীতেই ঝেঁপে বৃষ্টি আসতে চলেছে।আলিপুর হাওয়া অফিস জানিয়েছে, এদিকে রাজ্যে আগামী কয়েকদিনে, শীতের প্রভাব আরও কমবে। রাতের তাপমাত্রা আগামী তিন দিনে দুই থেকে চার ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত বাড়বে। একইসঙ্গে বৃষ্টির দাপট দেখা যাবে উত্তরের জেলাগুলিতেও। উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং, কালিম্পঙের মতো পাহাড়ি জেলাগুলিতে আগামী তিন থেকে চার দিন হালকা বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে।জানা গিয়েছে,বৃহস্পতিবার, কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৬.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে ১ ডিগ্রি কম। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৮.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে ১ ডিগ্রি বেশি। বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার সর্বোচ্চ পরিমাণ ৯৮ শতাংশ। ইতিমধ্যেই বাতাসে ঝঞ্ঝার প্রভাবে বেড়েছে জ্বলীয় বাষ্পের পরিমাণ। কলকাতায় এদিন বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা। গোটা দিনই মেঘলা থাকবে আকাশ। আপাতত শীত ফিরছে না বঙ্গে।

ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২২
রাজ্য

শীতের আমেজেই ফের বৃষ্টির আশঙ্কা

তাপমাত্রা বাড়লেও রাজ্যে বজায় শীতের আমেজ। তবে শীত স্থায়ী হবে না বেশিদিন। বৃহস্পতিবার থেকেই আবারও বৃষ্টিতে ভিজবে বাংলা। সেই সঙ্গে বাড়বে রাতের তাপমাত্রাও। তবে, বুধবার পর্যন্ত অর্থাৎ আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই। আবহাওয়া মোটের উপর শুষ্কই থাকবে। তবে এখনই রেহাই নেই। বৃহস্পতিবার অর্থাৎ, ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে ফের ভিজতে পারে দক্ষিণের জেলাগুলি। এমনটাই জানিয়েছে আলিপুর হাওয়া অফিস।আলিপুর হাওয়া অফিস জানিয়েছে, মঙ্গলবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৪.৯ ডিগ্রি সেলিসয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে ২ ডিগ্রি কম। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৪.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে ২ ডিগ্রি কম। মঙ্গলবার বাতাসের আপেক্ষিক আর্দ্রতার সর্বোচ্চ পরিমাণ ৯৭ শতাংশ। আগামিকাল তাপমাত্রা বাড়লেও বিশেষ হেরফের হবে না। সকালের দিকে ঘন কুয়াশা থাকলেও বেলায় ধীরে ধীরে রোদের দেখা মিলবে। রাজ্যে ফের পশ্চিমী ঝঞ্ঝার দাপট। বুধবার বৃষ্টি হতে পারে পশ্চিমাঞ্চলে জেলাগুলোতে। বৃহস্পতিবার কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের সমস্ত জেলাতে বৃষ্টি হবে। পূর্বাভাস আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের।

ফেব্রুয়ারি ০৮, ২০২২
রাজ্য

যাওয়ার আগে বঙ্গে হালকা শীতের ছোবল, ফের ঝঞ্ঝার ভ্রুকুটিতে শীত বিদায়ের বার্তা?

শেষ মাঘে অবশ্য বঙ্গে শীতের ঝোড়ো ব্যাটিং। আপাতত বেশ কিছুদিন থিতু হবে শীত। কিন্তু, তার আয়ু খুব বেশিদিন নয়। চলতি সপ্তাহেই বৃহস্পতিবার থেকেই ফের বদলাতে শুরু করবে আবহাওয়া। বাড়বে তাপমাত্রা। রয়েছে আরও একটি ঝঞ্ঝার আশঙ্কাও। গত সপ্তাহেও শুক্রবার গোটা দিন দুই বঙ্গেই বৃষ্টি হয়েছে। শনিবার থেকে ধীরে ধীরে কমে বৃষ্টির প্রকোপ। জেলায় ও উত্তরবঙ্গে বৃষ্টি হলেও কলকাতা ও শহরতলী মোটামুটিভাবে বৃ্ষ্টিহীনই ছিল। দেখা মিলেছে রোদের। সরস্বতী পুজোতেও কোনও বাধা পড়েনি।আলিপুর হাওয়া অফিস জানিয়েছে, সোমবার কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৩.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে ৫ ডিগ্রি কম। সোমবারের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৩.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে ৩ ডিগ্রি কম। সোমবার বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ ৯৫ শতাংশ। আগামী বেশ কয়েকদিন শীত থাকবে। জেলাগুলির ক্ষেত্রে তাপমাত্রার পারদ নিম্নমুখী থাকবে। জেলায় তাপমাত্রা ১২ ডিগ্রির কাছাকাছিও হতে পারে। সোমবার সকালের দিকে হালকা কুয়াশা থাকতে পারে।রবিবার থেকেই আবহাওয়ার উন্নতি হয়েছে উত্তরবঙ্গে। সরস্বতী পুজোর হাত ধরে বঙ্গে মৃদু শীতের প্রত্যাবর্তনও হয়েছে। ২-৩ ডিগ্রি পর্যন্ত নেমেছে তাপমাত্রা। তবে আবহাওয়াবিদরা বলছেন, রাজ্যে মৃদু শীতের আয়ু সাময়িক। ৮ ও ১০ তারিখ উত্তর পশ্চিম ভারতে ফের ঝঞ্ঝার ভ্রুকুটি। বৃহস্পতি ও শুক্রবার ফের বঙ্গে মেঘ ঢুকবে। ফলে বৃষ্টিরও সম্ভাবনা থাকছে দুই বাংলায়।

ফেব্রুয়ারি ০৭, ২০২২
রাজ্য

বৃষ্টির বাধা কাটিয়ে রৌদ্রজ্জ্বল সবরস্বতীপুজো, এক ধাক্কায় ৪ ডিগ্রি পারদ পতন

বৃষ্টির ভ্রুকুটি কাটিয়ে অবশেষে কলকাতা-সহ গাঙ্গেয় দক্ষিণবঙ্গে সরস্বতী পুজোর অনুকুল আবহাওয়া। একলাফে অনেকটাই কমল তাপমাত্রাও।সরস্বতী পুজোর দিনে স্বস্তি দক্ষিণবঙ্গে। কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের বেশিরভাগ জেলাতেই বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। তবে নদিয়া, মুর্শিদাবাদ বীরভূম জেলায় আজ পুজোর দিনেও হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। উত্তরবঙ্গেও আজ বৃষ্টির সম্ভাবনা। দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার ও জলপাইগুড়ি এই পাঁচ জেলায় অপেক্ষাকৃত বেশি বৃষ্টি। উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর এবং মালদা জেলাতে হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা। রবিবার থেকেই ছন্দে ফিরবে শীত। অন্তত এমনটাই বলছে হাওয়া অফিস।শনিবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৮.৩ ডিগ্রি থেকে কমে সোজা ২৪.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। প্রায় এক ধাক্কায় ৪ ডিগ্রি পারদপতন। কমেছে রাতের তাপমাত্রাও। ১৯.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে রাতের তাপমাত্রা প্রায় ৩ ডিগ্রি কমে হয়েছে ১৬.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে রাতের তাপমাত্রা আরও কমবে কলকাতায়। দিনের তাপমাত্রা অবশ্য সামান্য বাড়বে। সদ্য বঙ্গে আগত পশ্চিমী ঝঞ্ঝা হরিয়ানা থেকে বিহার পর্যন্ত পূর্ব-পশ্চিম অক্ষরেখা কাল বিকেলের পর শক্তি হারিয়েছে। এর ফলে আবহাওয়ার পরিবর্তন।হাওয়া অফিস জানিয়েছে, আপাতত রবিবার থেকে ছন্দে ফিরবে শীত। ফের শুষ্ক হবে পরিবেশ। রবিবার রাত থেকেই ফের পারদ পতন শুরু হবে। রবি ও সোমবার একধাক্কায় ৩ থেকে ৪ ডিগ্রি পর্যন্ত তাপমাত্রা নামতে পারে। যার জেরে ফিরবে শীতের আমেজ। তবে শীত কতদিন স্থায়ী হবে, তা এখনও স্পষ্ট করে বলতে পারেননি আবহাওয়াবিদরা।

ফেব্রুয়ারি ০৫, ২০২২
রাজ্য

জাঁকিয়ে শীত থাকলেও মঙ্গলবার থেকে বাড়তে পারে তাপমাত্রা

বঙ্গে জাঁকিয়ে পড়েছে শীত। রোজই পারদ নিম্নমুখী। রবিবার রাতেও একাধাক্কায় তিন ডিগ্রি নামল পারদ। হাওয়া অফিস জানিয়েছে, আপাতত শীত থাকলেও বেশিদিনের সঙ্গী হবে না। ৩ ফেব্রুয়ারির পর থেকেই বদলাবে হাওয়া। মাঘের মাঝমাঝিতে বেশ শীত থাকলেও ফের একটি ঝঞ্ঝা পূর্ব ভারতের দিক থেকে আসায় মঙ্গলবার থেকে শীতের দাপট কিছুটা কমবে। আকাশে মেঘ ঢুকতে থাকায় দিনের তাপমাত্রা কমলেও ব্যাহত হবে রাতের পারদ পতন। সেই সঙ্গে বাধা পাবে উত্তুরে হাওয়া। তবে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর জানাচ্ছে, সরস্বতী পুজোর পর ফের ফিরতে পারে শীত।আলিপুর হাওয়া অফিস জানিয়েছে, আপাতত চলতি সপ্তাহে স্থায়ী হবে শীত। তবে সপ্তাহান্তে ৪ ফ্রেবুয়ারি থেকে বদলাতে শুরু করবে আবহাওয়া। বাড়বে তাপমাত্রা। আগামী ৪ ও ৫ তারিখ সরস্বতী পুজোয় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। কলকাতায় হালকা থেকে মাঝারি ও জেলাগুলিতে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি হতে পারে।পশ্চিমী ঝঞ্ঝার ও তামিলনাড়ুতে তৈরি হওয়া ঘূর্ণাবর্তের জোড়া ফলায় গাঙ্গেয় বঙ্গে প্রচুর জ্বলীয় বাষ্প প্রবেশ করবে। তার জেরেই আগামী ৪ ও ৫ ফেব্রুয়ারি ফের বৃষ্টিপাত হতে পারে। এদিকে ৫ তারিখই সরস্বতী পুজো। তাই ছাতা ছাড়া পুজোর ঘোরাফেরা মাটি হতে পারে বলেই জানিয়েছেন আবহবিদরা।

জানুয়ারি ৩১, ২০২২
রাজ্য

উত্তুরে হাওয়ায় শীত ফিরছে বঙ্গে, পূর্বাভাস হাওয়া অফিসের

শীতের কামর ফিরতে চলেছে বঙ্গে। আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর আশ্বাস দিয়েছে, আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে রাজ্যে বড় মাপের পারদ পতনের সম্ভাবনা আছে। তিন দিনে উত্তর এবং দক্ষিণ রাজ্যের দুই অর্ধের বিভিন্ন জেলায় রাতের তাপমাত্রা ৩-৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত নামতে পারে বলে পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে। এরই সঙ্গে জানানো হয়েছে, সকালে কুয়াশারও সম্ভাবনা আছে কোনও কোনও জেলায়।পশ্চিমী ঝঞ্ঝার বাধা কাটিয়ে ফিরছে শীত। ধীর গতিতে আসা শীত আপাতত বেশ কিছুদিন স্থায়ী হবে। কিন্তু, কতদিন তা নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না। কারণ, আরও একটি ঝঞ্ঝার কোপে ও বঙ্গোপসাগরে প্রচুর জ্বলীয় বাষ্প তৈরি হওয়ায় কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে আগামী ৪ ফেব্রুয়ারি ও ৫ ফেব্রুয়ারি মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাতের আশঙ্কাও রয়েছে।বারবার পশ্চিমী ঝঞ্ঝার কোপে পিছু হটেছে শীত। আবহবিদরা বলছেন, যেভাবে ক্রমেই ঘন ঘন বদলাচ্ছে বঙ্গের আবহাওয়া তাতে সামগ্রিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত জলবায়ু। যার প্রভাব পড়বে চাষে। ফলস্বরূপ বাজারেও পড়বে টান। কেন্দ্রীয় আবহাওয়া বিভাগের হ্যাজার্ড অ্যাটলাস বলছে, বঙ্গে বারবার এভাবে আবহাওয়ার ঘনঘন পরিবর্তন প্রভাব ফেলবে জলবায়ুতেও। যার জেরে, ঘূর্ণিঝড়ের বিপদ বাড়বে দুই ২৪ পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুরে। এই তিন জেলায় রয়েছে প্রবল জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কাও। খরা দেখা দিতে পারে বীরভূম ও নদিয়ায়। গোটা রাজ্যেই হতে পারে অতিবৃষ্টিও।বৃহস্পতিবার কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকতে পারে ২৫.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, স্বাভাবিকের থেকে যা ২ ডিগ্রি কম। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে ১৭.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, স্বাভাবিকের থেকে যা ৩ ডিগ্রি বেশি। বুধবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। স্বাভাবিকের থেকে দুডিগ্রি বেশি। দমদমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল আরও বেশি, ১৭.২ ডিগ্রি।

জানুয়ারি ২৭, ২০২২
রাজ্য

সকাল থেকে দফায় দফায় বৃষ্টি, ঘন কুয়াশায় ঢাকল রাজ্যের উত্তর থেকে দক্ষিণ

পূর্বাভাস ছিলই। সেই পূর্বাভাস মতো শনিবার থেকে শহরে শুরু হল বৃষ্টি। ভোর থেকে কলকাতার আকাশের মুখ ভার। ঘন কুয়াশায় দৃশ্যমানতা ছিল খুবই কম। বেলা একটু গড়াতেই শুরু হল বৃষ্টি। আবহাওয়ার এই খামখেয়ালিপনার জেরে বাড়ল রাতের তাপমাত্রা। হাওয়া অফিসের খবর, পশ্চিমী ঝঞ্ঝা ও নিম্নচাপ অক্ষরেখার কারণে এই বৃষ্টি এবং পারদের ঊর্ধ্বমুখী হওয়া। শুধু কলকাতাই নয়, একাধিক জেলায় ভারী বর্ষণের আশঙ্কা প্রকাশ করেছে আবহাওয়া দপ্তর। বৃষ্টি কাটিয়ে কবে ফের মিলবে শীতের দেখা তা নিয়েও রয়েছে আশঙ্কা।আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, পশ্চিমী ঝঞ্ঝার প্রভাবে প্রচুর পরিমাণে জ্বলীয়বাষ্প বঙ্গে প্রবেশ করায় আগামী ৪৮ ঘণ্টা কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলাতেই বৃষ্টিপাত হবে। বৃষ্টিপাত হবে উত্তরবঙ্গের জেলাতেও। সিকিম ও দার্জিলিঙে তুষারপাতের আশঙ্কা রয়েছে। কলকাতা ছাড়াও হাওড়া, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর এবং দুই ২৪ পরগনাতে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে। আগামী দুই দিনেও আবহাওয়ার বিশেষ পরিবর্তন হবে না বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস।শনিবার কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকতে পারে ২৪.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে এক ডিগ্রি কম। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে ১৭.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে তিন ডিগ্রি বেশি।আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, দক্ষিণবঙ্গের হাওড়া, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা, হুগলি, নদিয়া এবং মুর্শিদাবাদ জেলায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। শনিবার থেকে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে বৃষ্টির তীব্রতা বাড়বে। উত্তরবঙ্গের পাঁচ জেলাতেও একই পূর্ভাবাস দিয়েছে হাওয়া অফিস। সেই সঙ্গে দার্জিলিঙের উঁচু জায়গা অর্থাৎ সান্দাকফু এবং টাইগার হিলসে তুষারপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। অসময়ের বৃষ্টিতে পাহাড়ে ধস নামতে পারে বলেও অশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। মঙ্গলবার পর্যন্ত এমনই আবহাওয়া থাকবে। এ সবই হচ্ছে পশ্চিমী ঝঞ্ঝা কারণে, যা উত্তুরে হাওয়ার গতি রুদ্ধ করছে। সঙ্গে যুক্ত হয়েছে দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া ঘূর্ণাবর্ত যা বঙ্গোপসাগর হয়ে গঙ্গাসাগর পর্যন্ত যাওয়ার সময় দক্ষিণবঙ্গে প্রচুর জলীয় বাষ্প রেখে দিয়ে গিয়েছে।

জানুয়ারি ২২, ২০২২
রাজ্য

Rain: দুপুর গড়াতেই জেলায় জেলায় শুরু বৃষ্টি! পাঁচ জেলাকে সতর্ক করল আলিপুর

হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস ছিলই। মঙ্গলবার দুপুর গড়াতেই শুরু হয়েছে জেলায় জেলায় বৃষ্টি। হাওয়া অফিস জানিয়েছে, আগামী দু থেকে তিন ঘণ্টার মধ্যে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি হবে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায়। আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস অনুসারে সন্ধ্যার মধ্যেই বীরভূম, পূর্ব বর্ধমান, ঝাড়গ্রাম, মেদিনীপুর জেলার একাধিক জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। সকলকে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। সতর্কবার্তা রয়েছে হুগলি ও কলকাতার জন্যও।আরও পড়ুনঃ হাইকোর্টের নির্দেশে শুভেন্দুকে ছাড়াই গঙ্গাসাগরের নতুন কমিটিআগামী ৪৮ ঘণ্টায় দক্ষিণবঙ্গের সমস্ত জেলাতেই বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। পশ্চিমীঝঞ্ঝার কারণে হাওয়ার গতিপথের পরিবর্তন, সেই সঙ্গে বঙ্গোপসাগর থেকে জলীয় বাষ্পপূর্ণ আসা হাওয়া এই দুয়ের প্রভাবেই এই বৃষ্টিপাত। এই বৃষ্টির প্রভাব বেশি পড়বে পশ্চিমের জেলাগুলিতে। ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদে আগামী ৪৮ ঘণ্টায় মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। দক্ষিণবঙ্গের অন্যান্য জেলাগুলিতে হালকা বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে আগামী দুদিন। তবে পশ্চিমের জেলাগুলির দুএক জায়গায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।আরও পড়ুনঃ লিটন যেন রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার, তবু লড়াই জমাতে পারল না বাংলাদেশমঙ্গলবার সকাল থেকেই ছিল আকাশের মুখ ভার। দুপুর গড়াতে শুরু হয় বিভিন্ন জেলায় বৃষ্টিপাত। মেদিনীপুর শহরে এদিন বিকেল চারটে নাগাদ চারদিক একেবারে অন্ধকার করে আসে। সাড়ে চারটে থেকে শুরু হয়েছে বৃষ্টি। বিকেল থেকে আকাশ কালো ঘাটালে। হালকা ঝোড়ো হাওয়া আর ঝিরঝির করে বৃষ্টি। বৃষ্টি বাড়তে কী হবে চিন্তায় ঘাটাল মহকুমার কৃষকরা। আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী যদি বৃষ্টি আরও বাড়ে তাহলে চরম ক্ষতি হবে আলু চাষের। এমনিতেই বছরের শুরু থেকে আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনায় চরম ক্ষতি হয়েছে চাষে। আবার এই পরিস্থিতি তৈরি হওয়ায় চিন্তার ভাঁজ কৃষকদের কপালে।আরও পড়ুনঃ ভোটের আগে বড় ভাঙন উত্তরপ্রদেশ বিজেপিতেঝাড়গ্রামেও সকাল থেকে আকাশ মেঘলা ছিল। বিকেল থেকে বৃষ্টি শুরু হয় জেলাজুড়ে। ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে বৃষ্টির ঝাপট। পুরুলিয়াতেও সকাল থেকেই আকাশের মুখ ছিল ভার। বিকেল থেকে বৃষ্টি শুরু হয় পুরুলিয়া জেলাজুড়ে। প্রথমে ঝিরঝিরি বৃষ্টি শুরু হলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে বৃষ্টির তোড়। শীত এবং সেই সঙ্গে বৃষ্টিতে জবুথবু পুরুলিয়া। রাস্তাঘাট একেবারে শুনশান।

জানুয়ারি ১১, ২০২২
রাজ্য

Weather: সকাল থেকেই কনকনে অনুভূতি, সোমবারই মরশুমের শীতলতম দিন

অবশেষে শীত এল বঙ্গে। গত সপ্তাহের শেষ থেকে পারদের পতন শুরু হয়েছিল। পরের ২৪ ঘণ্টায় তা আরও কমেছে বলে জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর। সোমবারই এ বছরের এখনও অবধি শীতলতম দিন। বাংলায় একটু দেরি হলেও উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম ভারতে ইতিমধ্যেই জাঁকিয়ে বসেছে শীত।এ বছর সময়মতো শীতের ইনিংস শুরু হলেও, বারবার বাধা পেয়েছে তার পথচলা। বঙ্গোপসাগরে ঘণীভূত হওয়া নিম্নচাপ বাতাসে জলীয় বাস্পের উপস্থিতি বাড়িয়েছিল। যার জেরে আকাশ থেকেছে মেঘলা। স্তব্ধ হয়েছিল উত্তুরে হাওয়ার গতিপথ। স্বাভাবিকের তুলনায় তাপমাত্রা ছিল বেশি। কিন্তু সেই বাধা কাটতেই ফিরছে শীত। হাওয়া অফিস আরও জানিয়েছে, আগামী কয়েক দিন বজায় থাকবে এই ঠান্ডা। আগামী কয়েক দিনে তা আরও বাড়বে।হাওয়া অফিসের তরফে জানানো হয়েছে, সোমবার কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে আকাশ থাকবে পরিষ্কার। রোদের পাশাপাশি বইবে উত্তুরে হাওয়া। সোমবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকতে পারে ২৫.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে ২ ডিগ্রি কম। অন্যদিকে, সর্বনিম্ন তাপমাত্রা কমে হতে পারে ১৫.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা এ বছরে এখনও অবধি সব চেয়ে কম এবং রবিবারের তুলনায় প্রায় ৩ ডিগ্রি কম।এদিকে রাজধানী দিল্লি-সহ দেশের অন্যত্রও ঠান্ডার দাপট শুরু হয়েছে। প্রবল শীতে রাজস্থানের অনেক জায়গায় জনজীবন ব্যাহত হচ্ছে। বহু জায়গায় সকালবেলা কুয়াশার কারণে সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছে আমজনতাকে। ঠান্ডা এবং কুয়াশায় দৈনন্দিন কাজকর্মও শুরু হচ্ছে অনেক দেরিতে।

ডিসেম্বর ১৩, ২০২১
কলকাতা

Weather: ধীরে-ধীরে কমছে তাপমাত্রা, জাঁকিয়ে শীত এখনই নয়

সপ্তাহের শেষ থেকে বাংলায় অনুভূত শীতের আমেজ। গতকাল থেকেই তাপমাত্রা কমার ইঙ্গিত দিয়েছিল হাওয়া অফিস। হচ্ছেও ঠিক তেমনটাই। পাশাপাশি রয়েছে কুয়াশার সতর্কতা।এদিকে, এতদিন শীতের পথে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছিল পশ্চিমী ঝঞ্ঝা। যার কারণে উত্তরে হাওয়া রাজ্যে ঢুকতে বাধা পাচ্ছিল। এবার সেই বাধা কাটিয়ে ধীরে ধীরে কমবে তাপমাত্রা। দিনে মেঘলা আকাশ থাকবে সঙ্গে কুয়াশা। রাতে তাপমাত্রা কমবে।তবে ডিসেম্বরের মাঝামাঝি যে তাপমাত্রা হওয়া তা কিন্তু নেই। নভেম্বর-ডিসেম্বর থেকেই কলকাতা-সহ সারা বাংলায় জাঁকিয়ে শীত পড়ে। যদিও, গত কয়েক বছর সেই নিয়মের কিছুটা হলেও ব্যাঘাত ঘটেছে। আবহাওয়াবিদের মতে যেখানে ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে তাপমাত্রা হওয়া উচিৎ ছিল ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস সেখানে আজকের তাপমাত্রা ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের রয়েছে। আজকে দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৮ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টি হয়নি। পাশাপাশি আবহাওয়া অফিসের তরফ থেকেও বৃষ্টিপাতের কোনও পূর্বাভাস মেলেনি।উত্তরবঙ্গের জেলায় শীতের আমেজ ক্রমশ বাড়বে। শুষ্ক আবহাওয়া উত্তরবঙ্গেও। আগামী কয়েকদিন তাপমাত্রার তারতম্যে জলীয়বাষ্প থাকায় কুয়াশা হতে পারে। উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে কুয়াশার সম্ভাবনা বেশি।

ডিসেম্বর ১২, ২০২১
কলকাতা

Weather: আগামী সপ্তাহেই শীত রাজ্যে!

নিম্মচাপ আর বৃষ্টিতে তিতিবিরক্ত বাঙালি মুখিয়ে রয়েছে শীত আসবে কবে, সে দিকেই। আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, শীতের জন্য আর বেশি অপেক্ষা করতে হবে না রাজ্যবাসীকে। আগামী সপ্তাহেই দেখা মিলবে শীতের। একই সঙ্গে সপ্তাহান্তে কুয়াশার সতর্কবার্তা জারি করেছে আবহাওয়া দপ্তর। পাশাপাশি, পূর্ব মেদিনীপুর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনায় হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনার কথাও জানিয়েছে তারা।ডিসেম্বর মাস পড়ে গেলেও মেঘ, বৃষ্টির জেরে স্যাঁতসেতে ঠান্ডা থাকলেও শীতের আমেজ কিন্তু সে ভাবে মিলছে না। আর তাতেই খানিকটা হতাশ আম বাঙালি। প্রশ্ন উঠছে, শীতের চেনা ঝকঝকে আকাশের দেখা কবে মিলবে? শীত এখনই না পড়লেও রাতের তাপমাত্রা কমবে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস।

ডিসেম্বর ১১, ২০২১
রাজ্য

Cyclone Jawad: পুরী ছুঁয়ে বাংলার দিকে আসতে পারে জাঁদরেল জাওয়াদ

সামুদ্রিক ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের অভিমুখ পরিবর্তন বিপদ বাড়াচ্ছে বাংলার। মৌসম ভবনের দাবি অনুযায়ী জাওয়াদ আগামিকাল অর্থাৎ শনিবার ভোরে অন্ধ্র-ওডিশা উপকূলে পা রাখবে। তারপর তা বাঁক নিয়ে ওডিশা, ছত্তিশগড় হয়ে মধ্যপ্রদেশের দিকে চলে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সেক্ষেত্রে বাংলায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু দ্বিতীয় মত, এই ঘূর্ণিঝড় ভূমিস্পর্শ করবে না শনিবার ভোরে। বরঞ্চ তা সাগরের বুকেই বাঁক নিয়ে মধ্য ও উত্তর ওডিশা উপকূলের দিকে এগিয়ে আসবে। রবিবার বিকালের মধ্যেই তা পুরীর কাছাকাছি চলে আসবে। অনুমান সোমবার ভোরে তা ভূমিস্পর্শ ঘটবে বাংলা ওডিশা উপকূলে। যদিও সেক্ষেত্রে তা আর ঘূর্ণিঝড় থাকবে কিনা তা নিয়ে খটকা থাকছে। কেননা দীর্ঘ সাগর পাড়ি দেওয়ার জেরে সাগরের বুকেই তার শক্তিক্ষয় হতে শুরু করে দেবে। তার জেরে ভূমিস্পর্শ কালে তা অতি গভীর নিম্নচাপের চেহারা নেবে। আর তার জেরে ওডিশা ও বাংলার বুকে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকছে। আবার এটাও হতে পারে ওডিশা উপকূল ধরে এগোবার সময় সাগর থেকে আরও শক্তি সঞ্চয় করবে সে। আর তারপরেই সে এগিয়ে আসবে বাংলার দিকে।শুক্রবার বিকালে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর এক সাংবাদিক বৈঠকে জানিয়েছে, এই ঘূর্ণিঝড় আদৌ ভূমিস্পর্শ করবে কিনা তা নিয়েই খটকা আছে। তবে সাগরের বুকেই সে বাঁক নিয়ে ওডিশার উপকূল ধরে বাংলার দিকে এগিয়ে আসবে। তার জন্য এদিন থেকেই বাংলায় বৃষ্টি শুরু হয়ে যাবে। বিশেষ করে দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুর জেলায়। শনিবার এই দুই জেলায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকছে। সঙ্গে উত্তর ২৪ পরগনা, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, কলকাতা, হাওড়া ও হুগলি জেলায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হবে। রবিবার কিন্তু দুই মেদিনীপুর, দুই ২৪ পরগনা, কলকাতা, হাওড়া, হুগলি ও ঝাড়গ্রাম জেলায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাত হবে। দক্ষিণবঙ্গের বাকি জেলায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হবে। সঙ্গে বইবে ঝোড়ো হাওয়া। দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় জলোচ্ছ্বাসেরও সম্ভাবনা থাকছে সেক্ষেত্রে। তবে ওডিশা উপকূল ধরে এগোনোর সময়েই জাওয়াদের শক্তিক্ষয় ঘটতে পারে। তাই বঙ্গে ঝড়ের তাণ্ডব সেভাবে নাও থাকতে পারে। কিন্তু যদি তার বিপরীত হয়, তাহলে বাংলার কপালে দুর্ভোগ থাকবে।

ডিসেম্বর ০৩, ২০২১
  • ‹
  • 1
  • 2
  • ›

ট্রেন্ডিং

রাজ্য

দামোদরে বালি তুলতে গিয়ে বিরাট বিপত্তি, জলে ভাসছে ১৫টি লরি

দামোদরে বালি তোলায় কোনও লাগাম নেই। ডিভিসি থেকে জল ছাড়ার খবর থাকা সত্বেও বালি তোলার কাজ চলছিল। লরি নেমেছিল একেবারে নদের ভিতরে। জল ভরে টুইটুম্বুর হওয়ায় ভেসে গেল ১৫টি বালি বোঝাই লরি। পূর্ব বর্ধমানের গলসির গোহগ্রামের এই ঘটনায় বেশ চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পরে। পরে লরিগুলিকে উদ্ধারের তৎপরতা শুরু হয়।দুর্গাপুর ব্যারাজ থেকে জল ছাড়ার কথা ডিভিসি ও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আগাম ঘোষণা করা হয়েছিল। মাইথন ও পাঞ্চেত থেকে বুধবার জল ছাড়া হয় ৪০ হাজার কিউসেক। এরই মধ্যে নিম্ন দামোদর অববাহিকায় দুদিন ধরে টানা বৃষ্টি চলেছে। এই সব কারণে বৃহস্পতিবার সকালে হঠাৎ দামোদর নদে জলের পরিমাণ বেশ বেড়ে যায়। এতেই ঘটে যায় বিপত্তি। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ১৫টি বালি বোঝাই লরি দামোদর নদের জলে ভাসতে থাকে। তার উপর বৃহস্পতিবার বেলা বাড়তে নদের জল আরও হু হু করে বাড়তে শুরু হয়। বিপদ বুঝে লরিগুলি নদী থেকে তোলার জন্য তৎপরতা শুরু করে চালকরা । ওই সময়েই সামনে থাকা দুটি লরি বিকল হয়ে যাওয়ায় লরি গুলি নদ থেকে পাড়ে তোলা আর সম্ভব হয়নি। জেসিবি মেশিন ব্যবহার করেও কাজ হয়নি। জল কমা পর্যন্ত লরিগুলো তুলতে অপেক্ষা করতে হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

জুন ১৯, ২০২৫
রাজ্য

"কেশরী: চ্যাপ্টার ২" তে ক্ষুদিরাম বসু সহ বাঙালি স্বাধীনতা সংগ্রামীদের অপমান, প্রতিবাদে গর্জে উঠল বাংলা পক্ষ

সম্প্রতি কেশরী: চ্যাপ্টার ২ নামের এক বলিউডি হিন্দি সিনেমায় ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের সশস্ত্র সংগ্রামের উজ্জ্বল ইতিহাস তথা বীর বাঙালি স্বাধীনতা সংগ্রামীদের পরিচয় ও ভূমিকা বিকৃত করে এক মনগড়া মিথ্যা ইতিহাস তুলে ধরার অভিযোগ উঠেছে। সিনেমাটিতে দেখানো হয়েছে যে ক্ষুদিরাম সিং ও বারীন্দ্র কুমার নামক দুই বিপ্লবী বৃটিশ পুলিশকর্তা কিংসফোর্ডকে বোমা মেরে হত্যার চেষ্টা করে ও তাদের বোমা তৈরীর প্রশিক্ষণ দেয় কৃপাণ সিং! যার সাথে বাস্তবের কোন মিল নেই। প্রকৃত পক্ষে ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে বাঙালি বিপ্লবীদের সশস্ত্র সংগ্রামের ইতিহাসের এক যুগান্তকারী ঘটনা কিংসফোর্ড হত্যার প্রচেষ্টা ও পরবর্তীতে মানিকতলা বোমা মামলার ঘটনার কথা সম্পূর্ণ বিকৃত ভাবে এই সিনেমাটিতে দেখানো হয়েছে।সশস্ত্র সংগ্রামের লক্ষ্যে কলকাতার মানিকতলার যুগান্তর গুপ্ত সমিতিতেই অরবিন্দ ঘোষের নেতৃত্বে বোমা তৈরীর কর্মশালা গড়ে ওঠে, ইউরোপ থেকে বোমা তৈরী শিখে এসে এখানে বোমা তৈরী করে বিপ্লবীদের সরবরাহ করতেন হেমচন্দ্র কানুনগো, যিনি বলিউডের দৌলতে হয়েছেন কৃপাণ সিং। এই গুপ্ত সমিতির পক্ষেই ক্ষুদিরাম বসু ও প্রফুল্ল চাকী কিংসফোর্ডকে বোমা নিক্ষেপ করে হত্যার চেষ্টা করেন। মেদিনীপুরের বীর বাঙালি কিশোর ক্ষুদিরাম বসুর পদবী সিনেমায় হয়েছে সিং অন্যদিকে প্রফুল্ল চাকীর নামই মুছে গেছে, শোনা গেছে জনৈক বারিন্দর কুমারের নাম, যেকোন ইতিহাস সচেতন ব্যক্তিই বলতে পারবেন এই নাম আসলে মানিকতলা বোমা মামলার অন্যতম অভিযুক্ত ও পরবর্তীতে আন্দামানে দ্বীপান্তরিত বারীন্দ্র ঘোষের, যিনি সম্পর্কে অরবিন্দ ঘোষের ভাই। এই মানিকতলা বোমা মামলায় বিপ্লবীদের পক্ষে কোর্টে আইনি লড়াই করেন আরেক মহান বাঙালি স্বাধীনতা সংগ্রামী দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ। এই গৌরবজনক অধ্যায় সম্পূর্ণ ভাবে বিকৃত করা হয়েছে, যা বাঙালি জাতি তথা ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রতি চূড়ান্ত অবমাননা।এই বিকৃতির বিরুদ্ধে বাঙালির ক্ষোভের প্রকাশ দেখা যাচ্ছে সামাজিক মাধ্যমে। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী থেকে সংস্কৃতি জগতের নানান ব্যক্তিত্ব এই ইতিহাস তথা মহান স্বাধীনতা সংগ্রামীদের নাম বিকৃতির বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। ভারতীয় বাঙলির জাতীয় সংগঠন বাংলা পক্ষও সরব হয়েছে, আজ তারা পথে নেমে প্রতিবাদ করল কলকাতার বাংলা একাডেমী সংলগ্ন রানুছায়া মঞ্চে। এই প্রতিবাদ সভায় বাংলা পক্ষর সাংগঠনিক সম্পাদক কৌশিক মাইতি বলেন, কেশরী ২ সিমেমার মূখ্য অভিনেতা অক্ষয় কুমার, তিনি কাদের স্বার্থে বিকৃত ইতিহাস প্রচার করে সিনেমা তৈরি করেন এটা আমাদের সকলের জানা৷ বিজেপি ও বলিউডের উদ্দেশ্য বাঙালির গৌরবজনক বীরত্বের ইতিহাস মুছে দেওয়া। সেই উদ্দেশ্যেই বারবার এই ধরনের ঘটনা দেখা যাচ্ছে। বলিউড এর আগেও অভয় ২ সিরিজে বীর শহীদ ক্ষুদিরাম বসুকে ক্রিমিনাল, জঙ্গি হিসাবে দেখিয়েছিল। বাংলা পক্ষ তখন Zee5 কে লিগ্যাল নোটিশ দিয়েছিল এবং সল্টলেকে Zee5 এর অফিসে বিক্ষোভ করেছিল। পরবর্তীতে Zee5 ক্ষমা চেয়ে সেই অংশ বাদ দিতে বাধ্য হয়। শীর্ষ পরিষদ সদস্য অরিন্দম চট্টোপাধ্যায় বলেন যতক্ষণ না পর্যন্ত কেশরী ২ সিনেমার নির্মাতারা ক্ষমা না চায়, বাংলা পক্ষর লড়াই চলবে। ক্ষমা চেয়ে এই দৃশ্য বাদ দিতে হবে। বাঙালি বিদ্বেষীদের কিভাবে ক্ষমা চাওয়াতে হয় সেটা বাংলা পক্ষ ভালো ভাবে জানে।শীর্ষ পরিষদ সদস্য সৌম্যকান্তি ঘোড়ই বলেন, ক্ষুদিরাম বসুকে অপমান মানে বাঙালিকে অপমান। প্রফুল্ল চাকীকে অপমান মানে বাঙালিকে অপমান৷ বীর বিপ্লবী বারীন ঘোষদের অপমানের বিরুদ্ধে এই লড়াই চলবে। অক্ষয় কুমারকে ক্ষমা চাইতেই হবে।এছাড়াও আজকের প্রতিবাদ সভায় উপস্থিত ছিলেন কলকাতা জেলার সম্পাদক সৌম্য বেরা, দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলা সম্পাদক কুশনাভ মন্ডল, শিল্পী পক্ষর অধিকর্তা প্রবাল চক্রবর্তী প্রমুখ। এর আগে বিধাননগর দক্ষিণ থানায় এই সিনেমা নিয়ে একই ইস্যুতে এফআইআর হয়েছে। এমনকী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পর্যন্ত ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন বাঙালি বীর বিপ্লবীদের ইতিহাস বিকৃতি করার জন্য।

জুন ১৯, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

লর্ডসের ঐতিহাসিক শতরানের আলোতেও সমুজ্জ্বল বোলার সৌরভের পারফরম্যান্স

লর্ডসে টেস্ট অভিষেক হয়েছিল সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ও রাহুল দ্রাবিড়ের। দিনটা ছিল ১৯৯৬ র ২০ জুন। এই টেস্টের কথা উঠলেই মহারাজকীয় শতরানের কথাই সবার আগে মনে আসে। যা এসেছিল ২২ জুন।তবে ২০ জুন বল হাতে কামাল দেখিয়েছিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। ইংল্যান্ডের তৃতীয় ও চতুর্থ উইকেট পড়েছিল চার রানের ব্যবধানে। দলের ৯৮ রানের মাথায় সৌরভের প্রথম শিকার হন তিন নম্বরে নামা নাসের হুসেন। ১১০ বলে ৩৬ রান করে তিনি ফেরেন বিক্রম রাঠোরের হাতে ক্যাচ দিয়ে। ১০২ রানে ইংল্যান্ডের চতুর্থ উইকেট পড়ে। ৯ বলে ১ রান করে গ্রেম হিক সৌরভের বলেই জাভাগল শ্রীনাথের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন। প্রথম ইনিংসে সৌরভের বোলিং ফিগার ছিল ১৫-২-৪৯-২। বেঙ্কটেশ প্রসাদ পাঁচটি, শ্রীনাথ তিনটি ও সৌরভ ২টি উইকেট পান। পরশ মামব্রে, অনিল কুম্বলে ও সচিন তেন্ডুলকর উইকেট পাননি। দ্বিতীয় ইনিংসে সৌরভ তুলে নিয়েছিলেন প্রথম ইনিংসে শতরানকারী জ্যাক রাসেলের উইকেট। দ্বিতীয় ইনিংসে মহারাজ ৩ ওভারে মাত্র ৫ রানের বিনিময়ে একটি উইকেট পেয়েছিলেন। ফলে লর্ডসের ঐতিহাসিক শতরানের আলোতেও সমুজ্জ্বল বোলার সৌরভের পারফরম্যান্স।

জুন ১৯, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

বৃষ্টির মোকাবিলায় ইডেন সেরা, মাঠ ভরানোর আহ্বান মনোজের

আজও বৃষ্টিতে ব্যাহত বেঙ্গল প্রো টি২০ লিগের খেলা। কয়েক দিন ধরেই কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টি চলছে। যার জেরে বেঙ্গল প্রো টি২০ লিগের খেলাগুলি পরিত্যক্ত হচ্ছে। ইডেনে বৃষ্টি থামার পর খেলা শুরু হলেও ফের অবিরাম বর্ষণে ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়েছে। তবে গতকাল যা হলো তা অন্য কোথাও আর হতে পারতো না।সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের মস্তিষ্কপ্রসূত ভাবনাতেই ইডেনের গোটা মাঠ ঢেকে রাখার বন্দোবস্ত হয়েছে। উন্নতমানের কভার আনিয়ে। এমনকী ইডেনের মতো সল্টলেক যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস মাঠেও মাঠ ঢেকে রাখা হয় প্রধান কিউরেটর সুজন মুখোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন অনবদ্য টিম যার ফলে বৃষ্টি থামার কিছুক্ষণের মধ্যেই মাঠ খেলার উপযুক্ত করে দিতে পারেন। ইডেনের এমন ব্যবস্থাপনা বিশ্বের বৃহত্তম ক্রিকেট স্টেডিয়াম আমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামেও নেই। সুনীল গাভাসকর-সহ অনেকেই তাই বলে থাকেন মাঠ ঢাকার ব্যবস্থাপনায় ইডেনকে অনুসরণ করতে। এই ব্যবস্থাপনার সুফল মিলল আরও একবার। গতকাল বৃষ্টি একটু ধরতেই রাতে ৯ ওভারের ম্যাচ হলো। হারবার ডায়মন্ডস ৪০ রানে হারাল লাক্স শ্যাম কলকাতা টাইগার্সকে। যে পরিমাণ বৃষ্টি হচ্ছে শহরে তাতে অন্য কোথাও এটা সম্ভব হতো না। হলো মাঠ ঢাকার ব্যবস্থা ছিল বলেই। হারবার ডায়মন্ডস অধিনায়ক তথা রাজ্যের ক্রীড়া ও যুবকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী মনোজ তিওয়ারি অনুরোধ করেছেন সকলকে কাজ সেরে মাঠে এসে তরুণ ক্রিকেটারদের উৎসাহিত করার জন্য। এই লিগে বিনামূল্যে খেলা দেখা যায়। এমনকী হারবার ডায়মন্ডসের সমর্থকদের জল, ইলেক্টোরাল, কেক দেওয়ার কথাও মনোজ বলেছেন। তার কারণ ক্রিকেটারদের উৎসাহিত করতে সমর্থকদের উপস্থিতি দরকার। গ্যালারির সিংহভাগ ফাঁকা থাকছে। যে লিগের সম্প্রচার স্টার স্পোর্টসে চলছে সেখানে এমন ফাঁকা গ্যালারি মোটেই ভালো বিজ্ঞাপন নয়।

জুন ১৯, ২০২৫
দেশ

ওরঙ্গাবাদের এই হৃদয়স্পর্শী কাহিনী আপনার মন ছুঁয়ে যাবেই

মহারাষ্ট্রের ঔরঙ্গাবাদের সম্ভাজি নগরে ঘটনা এখন সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল। ওই হৃদয়স্পর্শী ঘটনা নাড়া দিয়েছে পুরো সমাজকে। সেখানে এক গয়নার দোকানে গিয়েছিলেন অতি সাধারণ এক দম্পতি। স্ত্রীকে কিছু উপহার দেওয়াই ছিল স্বামীর উদ্দেশ্য। গয়নার শোরুমের ম্যানেজার তাদের সঙ্গে গল্প জুড়ে দেন। হাসিঠাট্টার মাঝে কথা বলতে বলতে জেনে নেন তাঁদের জীবনকাহিনী। এবার এল জিনিস কেনার পালা। হাতের ঝোলা ব্যাগ থেকে বেরোল একটা ৫০০ টাকার নোট। একে একে ১০, ২০ টাকার নোট। সবশেষে একটা ছোটখাট বোঁচকা। তাতে ভর্তি খুচরো পয়সা।শোরুমের ম্যানেজার গোটা বিষয়টা বুঝতে পেরে তাঁদের একটি হার উপহার দেন। সঙ্গে একজোড়া কানের দুলও। এরপর বৃদ্ধের কাছে সরল আবদার জানান, নিজে হাতে স্ত্রীর হাতে সেটা তুলে দিতে হবে। উপহার তো দিলেন ম্যানেজার, কিন্তু এত বড় দোকানে এসে কোনও টাকা না দিয়ে চলে যাবেন, এতেও যেন সম্মানে বাধে বৃদ্ধের। সমাজের খেটে খাওয়া মানুষের কাছে আত্মসম্মানই বড় কথা। প্রাণ যাক, সম্মান নিয়ে বাঁচাটাই বড় কথা। তাই সবচেয়ে বড় নোটটি তুলে দিতে চেয়েছিলেন ম্যানেজারের হাতে। কিন্তু তাতে ম্যানেজারের উত্তর, আপনার আশীর্বাদের হাত থাকলেই হবে। পান্ডুরঙ্গ (কর্নাটক, মহারাষ্ট্রের পূজিত দেবতা) আছেন, কিছুর অভাব হবে না কোনওদিন। কিন্তু বৃদ্ধ নাছোড়বান্দা, টাকা তিনি দেবেনই। উপায় নেই বুঝে অবশেষে দুটো ১০ টাকার নোট নেন ম্যানেজার।স্বামীর চোখে জল, ধুতির খুঁট দিয়ে মুছে ফেললেন। তা দেখে স্ত্রীও আটকাতে পারলেন না নিজেকে। ভিডিওতেই স্পষ্ট, এমন এক মূল্যবান উপহার পেয়ে বিশ্বাস হচ্ছে না ওই দম্পতির। কিন্তু যেকজন ভিডিওটি দেখেছেন, তাঁরা সবাই বুঝেছেন এই চোখের জল, অবিশ্বাস শুধু মূল্যবান এক উপহারের জন্য নয়, জীবনের অন্যতম এই দিনটি মনের মণিকোঠায় সাজিয়ে রাখছেন দম্পতি।

জুন ১৯, ২০২৫
দেশ

আহমেদাবাদ বিমান দুর্ঘটনা: শিশুদের শনাক্ত করতে বড় সমস্যা, এখনও হস্তান্তর ১৫৯ দেহ

সুরাটের নানাবাওয়া পরিবার ৩৬ বছর বয়সী আকিল এবং ৩১ বছর বয়সী স্ত্রী হান্না ভোরাজির নামাজ-এ-জানাজা (জানাজা) সম্পন্ন হয়। বুধবার ভোরে ফোন করে জানায় যে বোয়িং ড্রিমলাইনার দুর্ঘটনায় তাদের সাথে মারা যাওয়া তাদের মেয়ে সারার মৃতদেহ শনাক্ত করা হয়েছে। আত্মীয়স্বজনরা চার বছর বয়সী মেয়ের দেহাবশেষ দাবি করতে আহমেদাবাদে ছুটে যান। যাতে তাকে তার বাবা-মায়ের পাশে দাফন করা যায়।আহমেদাবাদ-লন্ডন AI-171 বিমান দুর্ঘটনার প্রায় এক সপ্তাহ পর, সারার সন্ধানে দেখা যাচ্ছে যে পুড়ে যাওয়া দেহাবশেষের মধ্যে নাবালকদের শনাক্ত করা কতটা কঠিন। বুধবার পর্যন্ত, ডিএনএ ম্যাচিং এবং শনাক্তকরণের পরে ১৫৯টি মৃতদেহ আত্মীয়দের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। সারা ছাড়াও, এই মৃতদেহগুলির মধ্যে কেবল একজন নাবালিকা ছিল ফাতিমা শেঠওয়ালা, যার বয়স ১৮ মাস।বিমান সংস্থার তালিকা অনুসারে, AI-171-এ ১২ বছরের কম বয়সী ১৩টি শিশু ছিল, যার মধ্যে তিনজন এখনও ২ বছর পূর্ণ করেনি। আরও বেশ কয়েকজনের বয়স ১১ থেকে ১৮ বছরের মধ্যে।এই ধরনের দুর্যোগে অপ্রাপ্তবয়স্কদের শনাক্ত করার জন্য ডিএনএ প্রযুক্তি ব্যবহারে অসুবিধা ব্যাখ্যা করে গুজরাটের সরকারি ডেন্টাল কলেজের ফরেনসিক দন্ত বিশেষজ্ঞ ডঃ জয়শঙ্কর পিল্লাই বলেন, শিশুদের শরীরের ভর কম থাকে এবং তাই টিস্যুর ক্ষতি হয় এবং লম্বা হাড় তাপের সংস্পর্শে আসে। তবে দাঁত বেশি শক্তিশালী হওয়ায় তাপ সহ্য করতে পারে।তবে অপ্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে এটিও জটিল। শিশুদের যে কোনও দাঁত থেকে ডিএনএ বের করা যেতে পারে, কিন্তু আগুন লাগার সময় সামনের দাঁত ব্যবহার করা যায় না কারণ তাপ তাদের নষ্ট করে দেয়। তাই আমরা মোলার থেকে ডিএনএ নিই। ছয় বছরের কম বয়সী শিশুদের ক্ষেত্রে, আমরা স্থায়ী মোলার পেতে পারি না... তাদের বেশিরভাগই দুধের দাঁত থাকে, এবং কখনও কখনও সেগুলিও নষ্ট হয়ে যায়। কারণ খিলানটি খুব ছোট। তাই আমরা চোয়ালে একটি ছেদ তৈরি করি এবং ভিতরে স্থায়ী মোলার তৈরি করার চেষ্টা করি, পিল্লাই বলেন, যার বিভাগের সাথে ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগ দাঁতের ডিএনএ বের করতে এবং ক্ষতিগ্রস্তদের দাঁতের চার্ট তৈরি করতে সাহায্য করার জন্য যোগাযোগ করেছিল।একজন ফরেনসিক কর্মকর্তা বলেছেন যে দুর্ঘটনার পরে যে আগুন লেগেছিল তা খুব অল্প সময়ের মধ্যে ১৬০০ ডিগ্রি ফারেনহাইটের বেশি তাপমাত্রায় পৌঁছেছিল। সুতরাং, কিছু ব্যক্তির জন্য কেবলমাত্র আংশিক ডিএনএ প্রোফাইল পাওয়া যায়, যাদের আমরা সন্দেহ করি যে তারা নাবালক, কর্মকর্তা বলেন, আরও বলেন যে আত্মীয়দের সাথে নিঃসন্দেহে নির্ভুলতার সাথে মেলানো কঠিন।আকিলের বাবা আবদুল্লাহ স্মরণ করিয়ে দেন যে তিনজন ৬ জুন, ঈদুল আযহার একদিন আগে, এক আকস্মিক পরিদর্শনে এসেছিলেন। এটা একটা ছোট ভ্রমণ ছিল। আমরা জানতাম না যে এটাই তাদের শেষ হবে, কাঁদতে কাঁদতে আবদুল্লাহ বলেন, যিনি বিমানে পরিবারকে নামিয়ে দিতে আহমেদাবাদ গিয়েছিলেন।ভদোদরায়, আসিফ শেঠওয়ালা তার নাতনি ফাতিমার জন্য শোক প্রকাশ করেছেন। যার দেহাবশেষ বুধবার শনাক্ত করা হয়েছে, যখন তার মা সাদিকার মৃতদেহ এখনও পাওয়া যায়নি। আসিফ বলেন, ফাতিমা তার লন্ডন-ভিত্তিক ছেলের একমাত্র সন্তান। সাদিকা এবং ফাতিমা আমার ছোট ছেলের বিয়েতে বেড়াতে এসেছিলেন। তারা প্রায় ২০ দিন ধরে এখানে ছিলেন এবং তাদের ফেরার টিকিট অনেক আগেই বুক করা হয়েছিল।ডিএনএ সরবরাহ করার পাশাপাশি, দাঁতের দেহাবশেষ একজন ব্যক্তির আনুমানিক বয়স নির্ধারণেও সাহায্য করে। যা শনাক্তকরণের জন্য প্রয়োজনীয় সূত্র প্রদান করে। আহমেদাবাদ দুর্ঘটনায় এটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় প্রাপ্তবয়স্কদের জন্যও, বিস্ফোরণ এবং আগুনের ফলে উদ্ধার করা বেশিরভাগ ডিএনএ নষ্ট হয়ে গিয়েছিল।ডঃ পিল্লাই বলেন, ফরেনসিক ওডন্টোলজি বিভাগ এক থেকে ছয় বছর বয়সী বেশ কয়েকজন প্রাপ্তবয়স্ক যাত্রীর দাঁতের ডিএনএ সংগ্রহ করেছে অথবা ডেন্টাল চার্টিং করেছে এবং অন্তত কিছু ভুক্তভোগীর বয়স মূল্যায়ন করেছে। এরপর এই বয়সের যাত্রীদের জন্য ফ্লাইট ম্যানিফেস্টের সাথে তুলনা করা হয়েছে। কিছু শিশুর ক্ষেত্রে, আমরা দ্বিতীয় মোলার বিকশিত হতে দেখেছি, যা স্পষ্ট করে দিয়েছিল যে তারা তিন থেকে ছয় বছর বয়সী। এটি অনুসন্ধানকে সংকুচিত করতে সাহায্য করেছে। তারপর তাদের ডিএনএ নমুনা তাদের আত্মীয়দের সাথে মেলানো যেতে পারে।যারা খবরের জন্য অপেক্ষা করছেন তাদের মধ্যে রয়েছে ভদোদরার ভাহোরা পরিবার। তারা দুর্ঘটনায় তিন সদস্যকে হারিয়েছে। সোমবার ইয়াসমিনের মৃতদেহ হস্তান্তর করা হলেও, পারভেজ এবং তার ৪ বছর বয়সী মেয়ে জুভেরিয়ার দেহাবশেষ এখনও পাওয়া যায়নি। প্রাক্তন আইপিএস অফিসার এবং ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ, ডঃ কেশব কুমার বলেছেন, পরিবারগুলির আশা হারানো উচিত নয়। বিমান দুর্ঘটনাটি প্রায় বোমা বিস্ফোরণের মতো ছিল। যেখানে ৫৪,০০০ লিটার বিমান জ্বালানি এক ঘন্টারও বেশি সময় ধরে জ্বলছিল। উৎপন্ন তাপের পরিমাণ শরীরের জন্য ক্ষতিকর। আমরা ভাগ্যবান হব যদি ভালো নমুনা পাওয়া যায়। কিন্তু যদি একটি দাঁতও পাওয়া যায়, তাহলে ডিএনএ পাওয়ার সম্ভাবনা আছে। ফরেনসিক পরীক্ষা খড়ের গাদায় সূঁচ পাওয়ার মতো। কিন্তু একজন তদন্তকারী হিসেবে, আমি বলতে পারি যে ম্যাচ পাওয়ার সম্ভাবনা ১০০%। ডিএনএ হাজার হাজার বছর টিকে থাকতে পারে এবং প্রয়োজনে ধ্বংসাবশেষে ডিএনএর আরও চিহ্ন থাকবে। গুজরাট পুলিশের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেছেন যে তারা দুর্ঘটনাস্থল থেকে একাধিক নমুনা সংগ্রহ নিশ্চিত করেছেন।

জুন ১৯, ২০২৫
রাজ্য

১০০ দিনের কাজ নিয়ে হাইকোর্টে বড় ধাক্কা কেন্দ্রীয় সরকারকে

গতকালই ওবিসি মামলায় হাইকোর্টে জোরদার ধাক্কা খেয়েছে রাজ্য সরকার। এবার ১০০ দিনের কাজ নিয়ে বড় ধাক্কা খেল কেন্দ্রীয় সরকার। বুধবার নজিরবিহীন একটি নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। পশ্চিমবঙ্গে ফের ১০০ দিনের কাজের প্রকল্প চালু করতে হবে, এই মর্মে কেন্দ্রীয় সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। আগামী ১ আগস্ট থেকেই এই প্রকল্প চালু করতে নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের বেঞ্চ।উল্লেখ্য, বাংলায় ১০০ দিনের কাজের টাকা বহুদিন ধরে আটকে রেখেছে কেন্দ্র, এই অভিযোগ করে আসছে রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ রাজ্য সরকারের একাধিক মন্ত্রী এই ব্যাপারে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বারবার সমালোচনায় সরব হয়েছেন। কেন্দ্রীয় সরকারের দাবি, পশ্চিমবঙ্গে ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে লাগামহীন দুর্নীতি হয়েছে। এই দুর্নীতির তদন্তে কেন্দ্র বেশ কয়েকটি দলও বাংলার জেলায় জেলায় পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।কেন্দ্রের অ্যাডিশনাল সলিসিটর জেনারেল অশোক চক্রবর্তী আদালতে জানিয়েছিলেন, ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে পশ্চিমবঙ্গে মোট ৫ কোটি ৩৭ লক্ষ টাকা বন্টনের ক্ষেত্রে গরমিল ধরা পড়েছে।। তার মধ্যে ২ কোটিরও বেশি টাকা পুনরুদ্ধার করা গিয়েছে। হুগলি, মালদা, বর্ধমান, দার্জিলিংয়ের মতো জেলাগুলিতে ১০০ দিনের কাজের টাকা বন্টনের ক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগ পেয়েছে কেন্দ্রের প্রতিনিধি দল। ১০০দিনের কাজের প্রকল্পে টাকা বন্টনের ক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গে বেনজির দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ কেন্দ্রের।রাজ্যে ১০০ দিনের কাজের প্রকল্প আটকে থাকা নিয়ে মামলার শুনানি বুধবার ছিল কলকাতা হাইকোর্টে। এদিন উভয় পক্ষের সওয়াল-জবাব শুনেছেন প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ। এরপর প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছেন যে শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গের জন্যই বিশেষ কোনও বেঁধে দিতে পারে কেন্দ্র। এই রায়ের পর সোচ্চার হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছেন, ১০০ দিনের পুরনো বকেয়া টাকা ফেরত দিতে হবে।

জুন ১৮, ২০২৫
রাজ্য

তোলা না দেওয়ায় গাছে বেঁধে কাপড় ব্যবসায়ীকে মারধর

পাঁচ লক্ষ টাকা তোলা না দেওয়ায় গাছে বেঁধে এক কাপড় ব্যবসায়ীকে মারধর এবং সালিশি করে গ্রাম ছাড়া করার অভিযোগ উঠলো স্থানীয় একদল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে কালিয়াচক থানার ফতেখানি এলাকায়। এই ঘটনায় আক্রান্ত ব্যবসায়ীর পরিবার কালিয়াচক থানার দ্বারস্থ হলেও চারদিন পরে পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ। অবশেষে বুধবার ওই ব্যবসায়ী দম্পতি সমস্ত ঘটনার বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ জানালেন পুলিশ সুপারের কাছে। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পুরো বিষয়টি নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন মালদার পুলিশ সুপার প্রদীপ কুমার যাদব। এদিকে কালিয়াচকের ওই ব্যবসায়ীর ওপর আক্রমণ এবং পাঁচ লক্ষ টাকা তোলাবাজির ঘটনায় রীতিমতো অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন জেলার সর্ববৃহৎ ব্যবসায়ীদের সংগঠন মালদা মার্চেন্ট চেম্বার অফ কমার্সের কর্মকর্তারা। সংশ্লিষ্ট সংগঠনের সভাপতি জয়ন্ত কুন্ডু জানিয়েছেন, এই ধরনের ঘটনার আমরা তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। বারবার যদি ব্যবসায়ীদের ওপর দুষ্কৃতীদের হামলা নেমে আসে, তাহলে আমরা যাব কোথায়। অবিলম্বে পুলিশ সুপার যাতে অপরাধীদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করে, সেই আবেদন জানাচ্ছি। এদিকে পুলিশকে অভিযোগে কালিয়াচক থানার ফতেখানি এলাকার পোশাক ব্যবসায়ী মহম্মদ রহিম বিশ্বাস জানিয়েছেন, পুরনো একটি মামলার ঘটনায় গত শনিবার এলাকার এক কুখ্যাত দুষ্কৃতী জহরুল খান এবং তার দলবল তাকে বাড়ির সামনে থেকে তুলে নিয়ে যায়। তাদের একটি ডেরায় তাঁকে গাছে বেঁধে ব্যাপক মারধর করা হয়। এরপর পাঁচ লক্ষ টাকার তোলা চাওয়া হয়। সেই টাকা না দেওয়ায় আশেপাশের আরও কিছু সাগরেদদের জুটিয়ে সালিশি ডাকা হয়। সেই সালিশির মাধ্যমে তাদের পরিবারকে গ্রাম ছাড়া করার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। আর এই ঘটনার পর থেকেই গত চারদিন ধরেই ওই ব্যবসায়ী পরিবার নিজের বাড়ি ছেড়ে অন্য এক আত্মীয়ের বাড়িতে আত্মগোপন হয়ে রয়েছেন। এমনকি ফতেখানি স্ট্যান্ডের কাছে ওই ব্যবসায়ী তার নিজের পোশাকে শোরুম খুলতে পারছেন না।

জুন ১৮, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal